টিউশন হলো একধরনের মানসিক শ্রম।শিক্ষক তার মেধা,প্রজ্ঞা ও সৃজনশীলতা দ্বারা
প্রভাবিত করে শিক্ষার্থীর মনকে।টিউশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিজস্ব সত্তাকে
শিক্ষার্থীর মাঝে সহজেই রুপায়িত করতে পারে।অনেকে শখের বশে টিউশন করান,কেউবা
করান আত্মনির্ভরশীল হতে আবার কেউবা নিতান্ত বাধ্য হয়ে।যে যেভাবেই টিউশন
করাক না কেন,মাস শেষে হলুদ খামে মোড়া ঐ কয়েক হাজার টাকা পুরো মাসের কষ্টকে
ভুলিয়ে দেয়।টিউশনের মাধ্যমে শিক্ষক নিজে শিখতে পারেন,শিখাতে পারেন।অনেক
দক্ষতা অর্জনের সাথে সাথে অনেক তিক্ত অভিজ্ঞতার সাথেও পরিচিত
হতে হয় তাকে।টিউশন মাঝে মাঝে টিচারকে শিক্ষার্থীর পরিবারের একটি অংশে
পরিণত করে,হৃদ্যতা সৃষ্টি হয় রক্তের বাধনশূন্য সম্পর্কেও।টিউশনের অন্যতম
প্রধান আকর্ষণ হচ্ছেঃনাস্তা।পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে নাস্তা শিক্ষককে হাত বাড়িয়ে
ডাকে।অনেক সময় নাস্তা, ডিম ডাল খেয়ে বেঁচে থাকা ব্যাচেলরের জন্য
স্বর্গসুধা বয়ে আনে।তবে টিচার যে জিনিসটা সবচেয়ে বেশি উপভোগ করেন সেটা হলো
শিক্ষার্থীর চোখে টিচারের জ্ঞান নিয়ে মুগ্ধতা।অনেক নতুন নতুন কথা বলে
স্টুডেন্টকে চমকে দেয়া যায়।যখন স্টুডেন্ট ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে থাকে তখন
নিজেকে অনেক পন্ডিত বলে মনে হয়।টিউশনের সবচেয়ে মধুর শব্দ হচ্ছে মাস শেষে
অভিভাবকের আলমারি খোলার শব্দ।দুরুদুরু বুকে সেই হলুদ খামের জন্য অপেক্ষার
পর মাহেন্দ্রক্ষণ যখন এসে যায় তখন টিচারের মুখে আপনিই মুচকি হাসি ছড়িয়ে
পড়ে।তবে ঈদ বা উৎসব উপলক্ষে বোনাস পেলে টিচারের হাসিটা আরো চওড়া হয়।
collected
collected
Comments
Post a Comment